এই যে মুক্তিযোদ্ধাদের দেখছেন, এদের মধ্যে অনেকেই বেচে নেই; কি লাভ হল তাদের যুদ্ধ করে? এরাও স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি; এরাও আমার সাথে ৯ দিন পায় হেটে কোলকাতা গিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে। কেন? কিসের নেশায়? কিসের আশায়? যে স্বাধীনতা মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও বিভাজনের শ্রেণীবিন্যাসে ক্ষত বিক্ষত করে; যে স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও ধনী দরিদ্র্যের সারিতে দাড় করিয়ে বিচার করা হয়, সে স্বাধীনতাই কি জাতিরজনকের মূল লক্ষ্য ছিল? তাহলে জাতীয় সংবিধানে সাম্য ও সমাজতন্ত্রের পাতাটি কেটে ফেলা হয় না কেন?
আমার চোখে দেখা যে সকল মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের নামে ৭১ এ অস্ত্রের মূখে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীতে ডাকাতি স্বরনাংকার লুণ্ঠন ও যুবতি মেয়েদের ধর্ষণ করেছিল; তারাই আজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আর গোপালগঞ্জ মাদারীপুর কালকিনি রাজঐর শিবচরের সকল লোভী লুটেরা অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন প্রখ্যাত হেমায়েত বাহিনীর প্রধান আমাদের হেমায়েত ভাই। প্রত্যেকের নিকট থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করে তিনি এ মহান কাজটি করেছেন। ধন্যবাদ বীর মুক্তিসেনা কমান্ডার হেমায়েত সাহেব কে।
অবাক লাগে যখন দেখি ৭১ এ খাসের হাট বাজারের বনিক লঘু সম্প্রদায় হিন্দুদ মেয়েদের ধর্ষণ কারী আর ধন সম্পদ লুণ্ঠনকারীর নাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তালিকায়?????????
ধিক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতি। থুহ মিথ্যার বেসাতি দুর্নীতিবাজ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল!
তোমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেলাম। তোমরা সে স্বাধীনতার ইতিহাসকে মিথ্যার বেসাতিতে কলঙ্কিত করে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুকেই অপমান করেছ। আবার তোমরাই জাতিরজনকের ছবি টাঙ্গিয়ে ফায়দা লুটতে কুণ্ঠাবোধ করনি; তোমাদের আসল রূপ আজো আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনাও চিনতে পারেন নি; যেমন ১৯৭৫ এজাতিরজনক বঙ্গবন্ধু চিনতে পারেন নি খন্দকার মোস্তাক গঙদের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন