ইতিহাসের নৃশংসতম বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান, মওলানা ভাসানীসহ ঘাতক চক্রের ভূমিকা:

ইতিহাসের নৃশংসতম বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান,মওলানা ভাসানীসহ ঘাতক চক্রের ভূমিকা:

শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৫

ধিক! মূর্খ অর্বাচীন অদূরদর্শিনী বেগম খালেদা জিয়া!

come to mukthi and learn the truth
ধিক! মূর্খ অর্বাচীন অদূরদর্শিনী বেগম খালেদা জিয়া! 
১/১১ খ্যাত ২০০৬-২০০৭ সালের মহা চক্রান্তকারী ডঃ ফখরুদ্দিন আহমেদ, জেনারেল মঈন, আহমেদ কোরেশী, ভোরের আলু মতিউর রহমান, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ও ডঃ কামাল বা ডঃ ইউনুসগংদের সকল চক্রান্তই বিফলে গিয়েছিল। শত চেষ্টায়ও জাতিকে বিভক্ত করতে পারেনি। পারেনি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে খাদ্যের সাথে বিষক্রিয়ার সংমিশ্রণে মেরে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্রের নীল নকসা বাস্তবায়ন করতে। কোন ডঃ কামাল-ইউনুসের হীন কূটকৌশলই বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করতে পারেনি। তা'সে যতো বড় কালো হাতই হোক। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে হেয়প্রতিপন্ন করার, ক্ষমতাচ্যুত করার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আল আমিন। এ ক্ষমতা কোন ডঃ, জেনারেল বা সুদখোড় ঘুষখোর দইওয়ালার কৃপায় প্রাপ্ত হয় না । যতোদিন বাংলার মাটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সর্বশেষ একজন আদর্শ সৈনিকও বেঁচে থাকবে, যতোদিন নৌকার একটি ভোটারো বাংলার কোন একটি নিভৃত পল্লীতে জয় বাংলার প্রতি বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ ও দেশপ্রেমের আদর্শিক চেতনা ও প্রত্যয় নিয়ে জীবিত থাকবে, ততোদিন বাংলাদেশ টিকে থাকবে। টিকে থাকবে স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ত্ব; টিকে থাকবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা, ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ ৪০ হাজার সম্ভ্রম হারানো মা বোনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা ও সন্মান । দুনিয়ার কোন হায়েনা পেশীশক্তিবলে এ পবিত্র মাটির একটি ক'নাও ছুঁতে পারবে না। যেমন পারেনি ৭১এর ঘনকাল মূমূরষ দিনগুলিতেও। আজ যারা ভারতের দালাল বলে আওয়ামী লীগকে ধিক্কার দেয়, ধর্মের নামে জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ, মানুষে মানুষে হিংসা বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামার দিকে দেশকে ঢেলে দিতে চাইছে, ভাইয়ে ভাইয়ে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টানের লেবাস পড়িয়ে বাঙ্গালী জাতির আজীবনের ঐক্যবন্ধনে বিভাজনের বিষ বৃক্ষ রোপণের পায়তারা করছে। ওরা দেশদ্রোহী পশ্চিমা পাকি প্রভূদের পা’চাটা লোভী কুকুর। ৭১ এ বাঙ্গালি জাতিকে কামড় দেয়া শুয়োরের বাচ্চা এখন বড় হয়ে কামড় দিতে শিখেছে। ওদের কোন ধর্ম নেই, জাত নেই, বংশ নেই। ওরা মানুষরূপী অমানুষ; ধর্ম ব্যবসায়ী জানোয়ার-নরপশু । 

ওদের মূখে সারাক্ষণ ভারত বিদ্বেষী কথার ফুলঝুরিঃ 


“ভারত এটা করেছে, ভারত দেশটাকে লুটে নীল, ভারত বাংলাদেশের ইসলামকে হিন্দু তত্ত্ব দিয়ে হিন্দুস্থান বানাতে চাইছে শেখ হাসিনা ভারতের নিকট দেশ বিক্রয় করে ফেলেছে ইত্যাদি ইত্যাদি অথচ যেয়ে দেখুন,ওদের ঘরে ২৪ ঘন্টা হিন্দি সিরিয়াল চলে, হিন্দি সিনেমা না দেখলে ওদের ঘুম হয়না। ওদের বউ ঝি'রাই ভারতের থ্রি পীচ আর শাড়ী না পড়লে কোন অনুষ্ঠানে যেতে পারে না। দিনে ভারত বিদ্বেষী বয়ানে মূখে থুবড়ি বেড়িয়ে আসে, আর রাতে হিন্দি ছবি না দেখলে ঘুম আসে না। একদিকে ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার অন্যদিকে গোপনে ভারতের কাছে বিশেষ চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব দিয়ে গত নির্বাচনে সমর্থন আদায়ের জন্য তেল মালিশ করা” ।
বুঝে দেখুন, বুকে হাত দিয়ে বলুন, পাকিস্তানের হায়েনা পশুর দল ৭১ এ ৩০ লক্ষ বাঙ্গালিকে হত্যা এবং ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠনকারী কিভাবে আমাদের বন্ধু হয়? যে পাকিস্তান বাংলার মাটির লোভে বাঙ্গালি নিধন করেছিল, তারা কিভাবে বন্ধু হয়? ভারতের সাথে আমাদের পারস্পরিক শিল্প বানিজ্য সাংস্কৃতিক ও ভোউগলিক সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ হিসেবেই দেনা পাওনা/হিসেব নিকেশের বহুবিধ সমস্যা- দ্বন্দ- বিভেদ মতভেদ থাকতেই পারে। ভাইয়ে ভাইয়ে যদি সম্পদ বন্টন সংক্রান্ত বিভেদ থাকতে পারে, তাহলে ভারতের সাথেও থাকাটা অতি সাভাবিক। উভয় দেশের সার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনার সরকার একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে যার আশু বাস্তবায়ন কিয়দাংশ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা চলছে, যার সমূহ সম্ভাব্য সমাধানের জন্য দ্বিপাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে। 
শেখ হাসিনা বরাবরই বলে থাকেন যে আমাদের কোন প্রভূ নেই, রয়েছে বন্ধু এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। যার প্রমান তিস্তা নদীর পানির হিস্যার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা ঠিক জাতির জনকের মতোই কঠোর ভাষায় ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মূখারজীকে ষ্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেন” নো তিস্তা, নো ট্রানজিট”। সর্বোপরি, কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই জননেত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন করেছেন। কই? বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা বিবিও তো দুই দুই বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন? তিনি কেনো তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়টির সমাধান করলেন না? মাঝে মাঝে খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনলে হাসি পায় আবার দুঃখও লাগে। তিনি কখনোই বাংলাদেশের সমূদ্র সীমানা নিয়ে মাথা ঘামাননি এবং মায়ানমারের কাছে বাংলাদেশের ন্যায্য হিসসার দাবী তোলেন নি। তিনি মূখ খুললেন যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা মায়ানমারের নিকট থেকে বাংলাদেশের ন্যায্য হিসসা বুঝে নিলেন। বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া সমুদ্র ভুখন্ড যেদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনা উদ্ধার করে বিশ্বের কাছে, জাতি সংঘের কাছে এক আপোষহীন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সন্মানিত হলেন। খালেদা জিয়া বললেন “শেখ হাসিনা সরকার মায়ানমারের কাছ থেকে বাংলাদেশের আসল পাওনা বুঝে আনতে পারেনি, আমরা আরো পাবো।বি এন পি সরকার হলে পুরো পুরি বুঝে নিতো। আজ দেশবাসীর কাছে আমার একটি প্রশ্নঃ তিনি কোথায় ছিলেন ১৯৯১-১৯৯৫ এবং ২০২০১-২০০৬ সালে? কি সারাদিন ফালু আর রাজাকারদের সাথে চক্রান্তের জাল বুনোনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন? নাকি শেখ হাসিনাকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র আর পাকিস্তানের দেয়া অর্থের হিসাব করতে করতে ভুলেই গিয়েছিলেন যে আমাদের সমুদ্রের অনেক খানি ভুখন্ড মায়ানমার সরকার দখল করে রেখেছে? 
ধিক! খালেদা জিয়া ধিক! আপনার মূর্খ অর্বাচীন রাজনৈতিক অদূরদর্শিতাকে। আপনি বাংলার নিরীহ সহজ সরল দুখি মানুষকে আর কতো বোকা বানাবার চেষ্টা করবেন? জননেত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যে আপনার এতো জ্বলন কেন? 
মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠশিল্পী 
মোকতেল হোসেন মুক্তি 
সহ সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণ লীগ
সভাপতি সময়’৭১
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি 
মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ। 
সংগীত শিক্ষক 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন